Header Ads

Header ADS

Is tiff or jpeg better for Printing | Which one should we use?

 



বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব দুটো ভীষন পপুলার ফাইল ফর্মাট নিয়ে। তার মধ্যে একটি হচ্ছে TIFF আর অন্যটি হচ্ছে JPEGবর্তমানে আমাদের ডিজিটাল কাজ, ফ্লেক্স বা ব্যানার এর কাজ প্রচুর পরিমানে বেড়ে গেছে আর ফ্লেক্স বা ব্যানারকে আমাদের যে কোনা ফর্মাটে এক্সপোর্ট করে প্রিন্টের জন্য পাঠাতে হয়। কোন ফাইল ফর্মাটটি আমাদের জন্য সঠিক হবে সেটার ব্যাপারেই তোমাদের জানাব। Tiff বা Jpeg দুটো ফর্মাটেরই কিছু সুবিধা বা অসুবিধা আছে সেগুলো জেনেই তোমরা ঠিক করবে তোমাদের জন্য কোনটা ঠিক। 

TIFF Format 

সুবিধা ঃ-

  • এই ফর্মাটে যদি কোনো ফাইল এক্সপোর্ট বা সেভ করেন তাহলে অবশ্যই সেটা একটা High Quality ইমেজ হবে। সুতরাং কোয়ালিটিতে এই ফর্মাট কিন্তু অসাধারণ। তাই আপনারা এই ফর্মাটে এক্সপোর্ট করলে আপনাদের কোয়ালিটির ব্যাপারে কোনো চিন্তা থাকবে না।
  • যদি কোনো কারণে ফাইলটিকে কমপ্রেস করে এক্সপোর্ট করা হয় তাহলেও তার কোয়ালিটিতে কোনোরকম পরিবর্তন হয় না। 72 Resolution এ এক্সপোর্ট করলেও ফাইলের ইমেজ কোয়ালিটির পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না।
  • যদি ফটোগ্রাফ প্রিন্ট আউট করতে হয় তার জন্য সবথেকে ভালো ফর্মাট। ফটোর ডিটেলস প্রিন্ট আউটের পর বজায় থাকে।
  • আপনারা যদি ফটোশপ থেকে Tiff ফর্মাটে সেভ করেন তাহলে তার মধ্যে ব্যবহার করা সমস্ত লেয়ার কিন্তু বজায় থাকে। ফটোশপে ইমেজটি আবার খুললে সেটার লেয়ার দেখা যায় এবং এডিট করাও যায়।

অসুবিধা ঃ-

  • এই ফর্মাটের সাইজ অনেকটাই বেশি। তাই ফাইলটিকে মেল বা হোয়াটসএপে পাঠানো একটু মুশকিল। যদি কমপ্রেস করে 72 রেজুলেশনে করা হয় তাহলেও তার সাইজ অনেকটাই হয়। ফাইল পাঠাতে অসুবিধা হয়। যার কাছে ফাইল যায় সেখানে ফাইলটি খুলতেও অনেক সময় নেয়। লোড হতে টাইম নেয়।
  • ফাইলের সাইজ বেশি হওয়ার কারণে অনেকটাই ডিস্ক স্পেস নিয়ে নেয়। ফলে এই ফর্মাট নিয়ে কাজ করলে ডিস্ক স্পেস জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • সমস্ত ব্রাউজারে এই ফর্মাট সাপোর্ট করে না। আপনারা দেখে থাকবেন আপনারা গুগল থেকে যে ইমেজগুলো ডাউনলোড করেন তার মধ্যে এই ফর্মাট থাকে না বা থাকলেও সংখ্যা খুব কম। এই কারণে এর জনপ্রিয়তা অনেকটাই কম হয়ে গেছে।

JPEG Format

সুবিধা ঃ-

  • এই ফর্মাটটি সমস্ত জায়গায় ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ সমস্ত ব্রাউজার বা এপ্লিকেশনে এই ফর্মাটের ব্যবহার বেড়েই চলেছে। তার একটাই কারণ যে কোনো ব্রাউজারে আপলোড বা ডাউনলোড করা, এক্সপোর্ট করা, যে কোনো অপারেটিং সিস্টেমে এই ফর্মাটের জন্য সবসময় সাপোর্ট থাকে।

  • এই ফর্মাটের সাইজ তুলনামূলক ভাবে অনেক  কম হয়। ফলে খুব তাড়াতাড়ি ফাইলটি লোড হয়।

  • পৃথিবীর সর্বত্র এই ফর্মাটের ব্যবহার হয়। সুতরাং ফাইল ফর্মাট জনিত কোনো সমস্যা হয় না।

  • ডিজাইনে ব্যবহার করা সমস্ত কালার বজায় থাকে। কোনো রকম তার পরিবর্তন হয় না।

  • সাইজ ছোটো হওয়ার কারণে মেল বা এমনকি হোয়াটসএপে (ডকুমেন্ট) পাঠাতে কোনো অসুবিধা হয় না।

  • ডিস্ক স্পেসজনিত কোনো সমস্যা হয় না। অনেক JPEG ফর্মাট থাকলেও কম জায়গা নেয়।


অসুবিধা ঃ-

  • এক্সপোর্ট করার সময় যদি কমপ্রেস করা হয় তাহলে কোয়ালিটি ডাউন হয়ে যায়। ফাইনাল প্রিন্টের সময় কমপ্রেস না করাই ভালো বিশেষ করে ডিজিটাল প্রিন্টের সময়। ফ্লেক্স বা ব্যানার এর সময় প্রয়োজন হলে রেজুলেশন কমানো যেতে পারে। কারণ এখন সবাই মেল বা হোয়াটসএপে ফাইল পাঠায়। তাতে একটু কোয়ালিটি ডাউন হয়। যদিও অনেকে বলে JPEG তে 72 রেজুলেশনে ফাইল পাঠাতে কিন্তু তাতে প্রিন্টের পর ইমেজের ডিটেল পাওয়া যায় না। 
  • এর ফর্মাটের কোনো লেয়ার হয় না। একবার এক্সপোর্ট হয়ে গেলে এবং অরিজিনাল ফাইল না থাকলে লেয়ার রিমুভ করে তাকে এডিট করা সম্ভব নয়।

ভালো লাগলে  অবশ্যই ওপরে ডানদিকে ফলো বাটনে ক্লিক করা ফলো করবেন, কমেন্ট করবেন এবং ইউটিউব চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করবেন। ধন্যবাদ

No comments

Powered by Blogger.