Header Ads

Header ADS

এস.টি.এম., ইউনিকোড ও কোরেলড্র



আমাদের বাংলা ফন্টের চাহিদা যেন কমতেই চায় না বরং দিেনর পর িদন েযন বেড়েই চলেছে। আমাদের কাছে অনেক ভােলা ফন্ট থাকা সত্ত্বেও যখনই কোনো ভােলা বাংলা ফন্ট দেখতে পাই, েসই ফন্টের নাম কী? কী করে পােবা? – এটাই মনের মধ্যে ঘুরতে থাকে।

বর্তমান প্রায় সকলেরই কাছেই বাংলা ফন্টের অনেক কালেকশন রয়েছে। বাংলা ফ্রি ফন্ট ওয়েবসাইটে খুঁজলেই পাওয়া যায় তার মধ্যে ইউনিকোড এবং আনসি দুটোই থাকে।

ফন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমাদের অনেকগুেলা বিষয় মাথায় রাখতে হবে। আমরা যারা প্রতিদিন বাংলা ফন্ট নিয়ে কাজ করি  (কাজ করি বলতে আমি বলতে চাইছি জব ওয়ার্কের কথা বা বুকসের কাজের কথা) তারা িকন্তু খুব বেশি বাংলা ফন্টের ব্যবহার করে না। আমাদের কম্পিউটারে অনেক ফন্ট থাকলেও আমরা হয়ত সেখান থেকে ৮ থেকে ১০টি ফন্ট আমাদের ৯০ শতাংশ কাজে ব্যবহার করে থাকি। এই ৮ -১০টি ফন্টেক আমরা বলতে পারি আমাদের পছন্দের ফন্ট। যেমন আমাদের কোনো বুকস বা লেটার বা দু-চার পাতা বাংলা টাইপের কাজ এসেেছ আমরা েকানো িচন্তা না করে এসটিএম অর্জুন অথবা ইউনিকোড হলে রূপসী বাংলা ব্যবহার করছি। েতামাদের সবারই এরকম পছন্দের ফন্ট রয়েছে তােতই েতামরা বেশিরভাগ কাজটা করছো। েসইরকম বিয়ের কার্ডের জন্য এসটিএম লব খুব ভােলা ফন্ট। এগুেলা অটোমেটিক চয়েস।


িকন্তু ফন্ট ব্যবহারের ক্ষেত্রে আমরা কি অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করছি সেটাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমরা সকলেই জানি যে, এসটিএম ৩.৫ খুবই জনপ্রিয় একটি বাংলা সফটওয়্যার এবং এর ফন্টগুেলা খুবই ভালো। বুক পাবলিিশং এর কাজে এই সফটওয়্যার এর ব্যবহার অনেক। এসটিএম ৩.৫ পেড সফটওয়্যার হওয়া সত্ত্বেও প্রায় সকলেই ক্র্যাক করে ফ্রিতে এর সার্ভিস নিচ্ছে। এসটিএম এর ৩.৫ ভার্সানটি কিন্তু শুধুমাত্র উইন্ডোস এক্স পি ও উইন্ডোস সেভেন-এ ঠিকমতো চলে। উইন্ডোস ৮, ১০ অথবা ১১ এ এর সাপোর্ট নেই। সবথেকে ভােলা সাপোর্ট দেয় এক্স িপ ও উইন্ডোস সেভেন ৩২ বিট সিস্টেমে। এখানে আপনারা অটোমেটিক ফন্ট চেঞ্জ করার সুিবধা পাবেন। ধরুন আপনি বাংলা ও ইংরাজী দুটো ভাষায় টাইপের কাজ করছেন। দুেটা ভাষার ফন্ট ও সাইজ সিলেক্ট করে দিলেন। এবার হট কী- এর মাধ্যমে খুব সহজে টাইপ করতে পারবেন। বারবার ফন্ট সিলেক্ট করতে হবে না। উইন্ডোজ সেভেন ৬৪ বিট এ ম্যানুয়াল ফন্ট সিলেক্ট করতে হবে বাকী সব একই।

এসটিএম ৪.০ কিন্তু উইন্ডোজ ৮, ১০ ও ১১ এ সাপোর্ট দেয়। তবে  এটি পুরোপুির পেড সফটওয়্যার। এখানেও ম্যানুয়াল ফন্ট সিলেক্ট করতে হবে। ইনডিজাইনে এসটিএম ৪.০ সাপোর্ট করে কিন্তু ৩.৫ ভার্সানটি করে না।

বর্তমানে িকম্যান এর সাথে লিপিঘরের (এসটিএম এর জন্য ভার্সান ৩) ফ্রি কীবোর্ড ইন্সটল করে এসটিএম এর সমস্ত ফন্ট ব্যবহার করা যায়। ইনডিজাইনে বা ইলাস্ট্রেটর-এ খুব সুন্দর টাইপ করা যায়। েকানোরকম কোনো সমস্যা হয় না। তবে কোরেলড্র-তে কিছুটা সমস্যা হয়। িকম্যানের বিভিন্ন ভার্সান ট্রাই করার পরও কিছু যুক্তাক্ষর বা সাবলীল ভাবে টাইপ করার ব্যাপারে কিছুটা সমস্যা আছে। আমার অসুবিধা হয় কারণ আমি বহু বছর ধরে এসটিএম ব্যবহার করে আসছি তাই তফাতটা চোখে পড়ে। িকম্যানের ভার্সান ৮ টাই সবথেকে ভােলা বলে মনে হয়েছে আমার কোরেলড্র ব্যবহার করার ক্ষেত্রে।

বর্তমানে এসটিএম ছাড়াও আনসি ফন্টের জন্য অনেক বাংলা পেড সফটওয়্যার আছে। তাদের মধ্যে শ্রীলীিপ, সুিমত, সৌমিলী প্রভৃতি আছে। এছাড়াও ফ্রিতে ব্যবহার করার জন্য বিজয়, কিম্যান এবং লিপিঘরের অসংখ্য ফন্ট আছে। বিজয়-এর অনেক ফন্ট আছে যেগুেলা আপনার পছন্দের ফন্ট হতেই পারে। বর্তমানে ইউনিকোড ফন্টের ব্যবহার বাড়লেও আনসি ফন্টকে ঝেড়ে ফেলা অতোটা সহজ নয়। কারণ আনসি ফন্ট আমাদের কাজের সাথে ওতোপ্রতো ভাবে যুক্ত হয়ে রয়েছে।

ইউনিেকাড ফন্টের জনপ্রিয়তা হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে আপনি সমস্ত জায়গায় এর ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোনো এপ্লিকেশনে, গুগুলএ বা ফেসবুকে যেখানে খুিশ। তবে সেই এপ্লিকেশনেক আপডেটেড হতে হবে। যেমন পেজমেকার খুবই জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার। িকন্তু এর কোনো আপডেট নেই, পুরনো সফটওয়্যার তাই এখানে ইউনিকোড সাপোর্ট করে না। আবার ইনডিজাইন একটা আপডেটেড সফটওয়্যার তাই এখানে খুব সুন্দর ইউনিকোডের সাপোর্ট আছে।

বর্তমানে সমস্ত অপারেটিং সিস্টেমে প্রি ইন্সটল ইউনিকোড ফন্ট থাকে। যদি কেউ বাংলা ইউনিকোডে লেখা ফাইল শেয়ার করে তাহলে (কনভার্ট টু কার্ভ না থাকেলও) ফন্ট না থাকেলও অন্য ইউনিকোড ফন্টে পরিবর্তন হয় ফলে সমস্যা হয় না।

কোরেলড্রতেও ইউনিকোডের সাপোর্ট আছে। তবে যে ভার্সানগুেলা একটু পুরনো যেমন – এক্স ৩, এক্স ৪, এক্স ৫, এক্স ৬ ইত্যািদ সেখানে ইউনিকোডের যুক্তাক্ষর ঠিকমতো পড়ে না। এক্স ৭ এ টাইপ করা গেলেও উইন্ডোস সেভেনের ক্ষেত্রে শুরুর ‘ে ’ ঠিকমতো পড়ে না। আমরা জািন যে, শুরুর ‘ে’ এ মাত্রা হয় না। এক্স ৭ ‘ে’ দিলে মাত্রা সহ ‘ে’ হয়। সেখানেই অসুবিধা। তবে উইন্ডোস ১০ এ এই সমস্যা নেই। কোরেলড্র এক্স ৮ বা আপার ভার্সানে এই সমস্যা নেই।

যারা নতুন বাংলা টাইপ শিখছ তাদের একটা কথাই বলব যে, বারবার লে-আউট  চেঞ্জ করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়। েতামরা দেখবে তোমরা যে লে-আউট শিখছ সেই লেআউটে কত ধরনের ফন্ট টাইপ করতে পারছ। যেমন সেই লা-আউটে এসটিএম, ইউনিকোড, লিপিঘর, বিজয়-এর সমস্ত ফন্ট টাইপ করতে পারছ কি? বাংলা এবং হিন্দি একই লেআউটে কাজ করতে পারছ কি? মানে বাংলায় যে কী তে ‘ক’ েসই একই কী তে হিন্দীতে ‘ক’ পড়ছে তো? সেটা দেখতে হবে। উইন্ডোজ ১০ এবং ১১ এ বাংলা ল্যাঙ্গুয়েজে কিন্তু একটি মাত্রা লে-আউট আছে। সেটা হচ্ছে K = ক,  েতামরা যদি এই লে-আউট শেখো তাহলে প্রায় সমস্ত ফন্টেই কাজ করতে পারবে। আশা করি বুঝতে পেরেছো।

লেখা একটু দীর্ঘ হল। আশাকরি তোমরা এখান থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ভােলা থাকবে, সুস্থ থাকবে।

ধন্যবাদ


No comments

Powered by Blogger.